সিরিজ নির্ধারণী পঞ্চম টি-টোয়েন্টিতে শেষ ওভারে জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ২০ রান, হাতে ৪টি উইকেট। ক্রিজে ছিলেন ২৬ বলে ৪০ রান করা স্যাম বিলিংস ও ৮ বলে ৭ রান করা ক্রিস জর্ডান। জিততে হলে দুর্দান্ত কিছু করতে হতো ইংল্যান্ডের। কিন্তু ইংলিশরা সেটা পারেনি।

টানা ৪ বলে ৪ উইকেট তুলে নিয়ে ডাবল হ্যাটট্রিক করেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের জেসন হোল্ডার। ১৭ রানে ম্যাচটি জিতে উইন্ডিজ, সঙ্গে সিরিজও।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেওয়া ১৮০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৪০ রানের মধ্যেই জেসন রয় (৮) ও টম ব্যান্টনকে (১৬) হারায় ইংল্যান্ড। অধিনায়ক মঈন আলী ও জেমস ভিন্সের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় ইংল্যান্ড। ভিন্স আগ্রাসী ব্যাটিং করলেও অন্য পাশে ধীরগতির ব্যাটিং করেন মঈন। ১৯ বলে ১৪ রান করেন মঈন আলী। এরপর লিভিংস্টোনও বিদায় নেন দ্রুত। ৩৫ বলে ৫৫ রান করে আকিলের বলে আউট হন ভিন্সও।

বিলিংস ম্যাচটি নিয়ে যান শেষ ওভার পর্যন্ত। ২০তম ওভারে ২০ রানের প্রয়োজন হলে অধিনায়ক পোলার্ড বল তুলে দেন হোল্ডারের হাতে। ওভারের দ্বিতীয় বলে মিড উইকেটে থাকা বদলি ফিল্ডার ওয়ালশের হাতে ক্যাচ তুলে দেন জর্ডান। পরের বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে একই ফিল্ডারের হাতে ক্যাচ তুলে দেন ২৮ বলে ৪১ রান করা স্যাম বিলিংস। চতুর্থ বলে আদিল রশিদকে ফিরিয়ে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম হ্যাটট্রিক তুলে নেন হোল্ডার। পরের বলে সাকিব মাহমুদকে আউট করে পূরণ করেন ডাবল-হ্যাটট্রিক। ১৭ রানে জয় পেয়ে ৩-২-এ সিরিজ জিতে নেয় ক্যারিবীয়রা।

এর আগে, টসে জিতে আগে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৭৯ রান সংগ্রহ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পোলার্ড ২৫ বলে ৪১ রানে ও রভম্যান পাওয়েল ১৭ বলে ৩৫ রানে অপরাজিত থাকেন। এ ছাড়া ব্র্যান্ডন কিং ৩৪ ও কাইল মেয়ার্স ৩১ রান করেন।

কলমকথা/রোজ